মোঃ জসিম উদ্দীন :

আসন্ন শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রার্থী আবুল বাশার পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালাছেন বলে জানাযায়। সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড,পাড়া মহল্লায় ও দোকানপাটে আসা লোকজনের সাথে আলাপ করে জানাযায় আবুল বাশার পাটওয়ারী একজন সৎ, আদর্শ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তি।জীবনের শুরু থেকে তিনি নিজ গ্রাম ও শহর মিলে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থেকে জনসেবা করে আসছেন। বর্তমানে ঢাকা এয়ারপোর্টে বাংলাদেশ রিগার্ড এয়ারপোর্ট মেম্বার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ কার্টুন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও নিজ গ্রাম নরিংপুর কল্যাণ ফোরামের সভাপতি সহ আরো ৪ টিরও অধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘঠনের সভাপতির দায়িত্বে পালন করছেন।

নিজ গ্রাম ও ইউনিয়নবাসির লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯১ সালে মরহুম ছেফায়েত উল্যাহ মাস্টার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা কালীণ সময়ে আবুল বাশার পাটওয়ারী সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন।

১৯৯৬, ২০০১,২০০৮,২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন অন্যতম ডোনার ছিলেন তিনি। যার প্রমাণ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মাটি ও গণমানুষের নেতা প্রানপ্রিয় অভিভাবক মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।

জানাযায় তিনি সূচীপাড়া দক্ষিণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বে থাকা কালীণ সময়ে কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে রেজুলেশন করে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত মানের ছবি ঢাকা থেকে এনে বিদ্যালয় অফিস কক্ষে টানানো ব্যবস্থা করেন, বিদ্যালয়ের রেজুলেশন বইতে যার প্রমাণ রয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া-লেখার মান উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান বিভাগে একজন শিক্ষক সহ কয়েক জন শিক্ষক নিয়োগে প্রধান ভূমিকা রাখেন তিনি। তৎকালীণ সময়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের খাওয়া নিয়ে অসুবিধা হচ্ছিলো। এসময় আবুল বাশার পাটোয়ারী নিজ অর্থে প্রধান শিক্ষকের খাবার ব্যবস্থা করেন। রাস্তার বিষয়ে তদন্ত করে জানাযায় যে, এটি একটি সরকারি হালট। যার পশ্চিম পাশে পানি নামার ব্যবস্থা রয়েছে। উক্ত পানি নামার স্থানে কালভাট নির্মাণ করার কথা বলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তার নিকট হতে ৩০ হাজার টাকা নেয়। যা দিয়ে একটি সিমেন্টের পাইপের ব্যবস্থা করা হয়। এই সরকারি হালট এর দৈর্ঘ মাত্র ৫০০ ফুট। যা আবুল বাশার পাটওয়ারী নিজস্ব অর্থে সম্পাদন করে দেন। যার ফলে রাস্তার দুই পাশে থাকা জমির মূল্য বর্তমানে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায় এতে জমির মালিকগন অত্যন্ত আনন্দিত। ইদানিং অনেকে ঐ স্থানে বসত বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে । অর্থ কেলেঙ্কারীর ব্যাপারে এলাকার জনগণ থেকে জানাযায়, যে তিনি ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক পরিশ্রমের মাধ্যমে ধীরে ধীর অবস্থার উন্নতি করেন। যা সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ প্রতিহিংসার করতে শুরু করেন।

সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন ঘুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়, স্বাধীনতা বিরোধী অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড নেতাদের হাতে দীর্ঘদিন সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। এ থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের লোকজন মুক্তি পেতে চায়। সে কারনে প্রত্যেক ওয়ার্ডের পকৃত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অনুরোধে আবুল বাশার পাটওয়ারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ও জনগণের আশা আকাংকা পূরণ করার জন্য সাধারণ মানুষের সাথে কৌশল বিনিময় করেন। এতে স্বাধীনতা বিরোধী, সুবিধাভোগী দলে অনুপ্রবেশ কারীদের আঁতে ঘা লাগছে। তাই তারা পাগলের মতো প্রলাপ বকছে বলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করে।