বলাখালে অফিসঘর ভাংচুর করে নগদ টাকা লুটের অভিযোগ


অনলাইনিউজ ডেস্কঃ
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল মডেল টাউন এলাকায় একটি অফিসঘর ভাংচুর ও নগদ টাকা লুটসহ শাকিল মাহমুদ টুকু (৫৫) নামের একজনকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতের এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী শাকিল আহমেদ টুকু হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১নং ওয়ার্ডের বলাখাল গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মো. রুস্তম ভুঁইয়ার ছেলে আবু তাজের লিটন ভুঁইয়ার (৫৮) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বলাখাল মডেল টাউনে শাকিল আহমেদ টুকুর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে একটি বসতঘর রয়েছে। তিনি একজন জায়গার (ভূমি) ব্যবসায়ী। সে সুবাদে ওই বসতঘরে তিনি ব্যবসায়িক কাজ পরিচালনা করার জন্য অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে শাকিল আহমেদ টুকু তার অফিসে গিয়ে দেখেন অফিসঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা অবস্থায় রয়েছে। এরপর তিনি অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন, অফিসের ওয়ারর্ডফে রাখা সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও নগদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেই।
অফিসের বাহিরে অভিযোগের বিবাদী আবু তাজের লিটন ভুঁইয়াসহ ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনাম লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তিনি ওই সময়ে ভয়ে কাউকে কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর তিনি বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে তার এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে আবার সেখানে যান। যাদেরকে অভিযোগের স্বাক্ষী রাখা হয়েছে।
পরে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিনি বিবাদী লিটন ভুঁইয়ার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে তেড়ে আসেন এবং গালমন্দ করেন। শাকিল মাহমুদ টুকু অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, এ সময় স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে লিটন ভুঁইয়া অফিসঘর ভাংচুরের কথা স্বীকার করেন এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ বিষয়ে আবু তাজের লিটন ভুঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বরং আমার মাধ্যমে তার (শাকিল আহমেদ টুকু) কাছ থেকে একজনকে সম্পত্তি কিনে দিয়েছি। সে ওই ক্রেতার সাথে ঝামেলা শুরু করেছে। যার সালিশি বৈঠকও হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি যাকে সম্পত্তি কিনে দেয়েছি, শাকিল আহমেদ তার কাছ থেকে আধা শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করবে বলে ৩ লাখ টাকা নিয়েছে। কিন্তু সে সম্পত্তির রেজিস্ট্রি দিচ্ছেনা । এ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর, ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকও হয়েছে। এর মধ্যে সে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট একটি অভিযোগ থানায় দেয়।
একই বক্তব্য দেন ওই ক্রেতার পক্ষের সালিশদার সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং শাকিল আহমেদ টুকু মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।