আবারো পল হ্যারিস ফেলো হলেন রোটা. মাহবুবুর রহমান সুমন
স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারী ও দৈনিক ইল্শেপাড়ের প্রধান সম্পাদক রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমন আবারো পিএইচএফ (পল হ্যারিস ফেলো) পদক লাভ করেছেন। চলতি ২০২২-২৩ রোটারী বর্ষে তিনি রোটারী ফাউন্ডেশনে ১ হাজার ডলার জমা দিয়ে পিএইচএফ+২ বা পিএইচএফ লেভেল-৩ (এমপিএইচএফ) হলেন। এ উপলক্ষে আগামি শনিবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের রেডিশন ব্লু হোটেলে আয়োজিত দি রোটারী ফাউন্ডেশনের সেমিনারে তিনি গভর্নর কর্তৃক বিশেষ পুরস্কার লাভ করবেন।
এর আগে ২০১৭ সালে রোটারিয়ান মাহবুবুর রহমান সুমন রোটারী ফাউন্ডেশনে প্রথমে ১ হাজার ডলার জমা দিয়ে পিএইচএফ এবং ঐ বছরই আরো ১ হাজার ডলার জমা দিয়ে এমপিএইচএফ (পিএইচএফ+১) হয়েছিলেন। ২০২১ সালে তিনি ১শ’ ডলার দিয়ে এমসি পদক লাভ করেন। রোটা. সুমন মোট ঐ ফান্ডে ৩ হাজার ১শ’ ডলার দান করেন।
গ্রেটার চট্টগ্রাম রোটারী ক্লাবের স্বাগতিকতায় আগামি ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামের রেডিশন ব্লু হোটেলে আয়োজিত দি রোটারী ফাউন্ডেশনের সেমিনারে রোটারী ইন্টারন্যাশনালের পাস্ট প্রেসিডেন্ট ও রোটারী ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি চেয়ার রোটা. ইয়ান এইচ. এস. রিস্লে (জঞঘ. ওঅঘ ঐ. ঝ. জওঝঊখঊণ) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮২, বাংলাদেশের গভর্নর রোটা. রুহেলা খান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তর আর্থিক ফান্ড ‘রোটারী ফাউন্ডেশন’ ১৯১৭ সালে তৎকালীন রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট রোটা. আর্ক সি. ক্লাম্প গঠন করেন। এরপর থেকে গত শতবর্ষে সারা পৃথিবীর রোটারিয়ানদের অনুদানে রোটারী ফাউন্ডেশন বিশ্বের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সেবা করে আসছে। আর এই ফাউন্ডেশনে বিভিন্ন পর্যায়ে দানকারীদের বিভিন্নভাবে পদক দেয় রোটারী ইন্টারন্যাশনাল।
মাত্র ১ হাজার ডলার এই ফান্ডে জমা দিলে তাকে পিএইচএফ পদক দেয়া হয়। রোটারী ক্লাবের সাথে জড়িত নন এমন ব্যক্তিরাও ঐ ফান্ডে অনুদান দিতে পারেন। রোটারিয়ান নন যেমন রোটার্যাক্টর বা রোটারী ক্লাবের সাথে জড়িত নন এমন ব্যক্তিরাও ইতোমধ্যে ঐ ফান্ডে অনুদান প্রদান করেছেন। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যাক্তি রোটারিয়ান বিল গেটস্ এই ফান্ডে বিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
জানা যায়, রোটারী ফাউন্ডেশনের ফান্ড থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অসহায়দের সহায়তা দেয়া হয়।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- পৃথিবী থেকে পোলিও রোগ মুক্তকরণ। পৃথিবীতে পোলিওমুক্তকরণে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। এছাড়া আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ তৃতীয় বিশ্বের অভাবগ্রস্ত দেশে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে ঐ ফান্ড থেকে মানুষের সেবা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও বৃহৎ প্রকল্পগুলোতে রোটারী ফাউন্ডেশন সহযোগিতা করে আসছে।