ডেস্ক নিউজঃ

শাহরাস্তির সূচীপাড়া উওর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: মোস্তফা কামাল মজুমদার সংবাদ সন্মেলন করেছেন। ১০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় শোরশাক বাজারস্থ সূচীপাড়া উওর  ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য মোস্তফা কামাল মজুমদার জানান, দেশের প্রচলিত আইন এর প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা রেখে অনিয়ম ,দুনীতিসহ সকল অপরাধের প্রতি ঘৃনা রেখে একজন নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসাবে সকল নিয়ম-নীতি মান্য করে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব সততা,নিষ্ঠা,আন্তরিকতা ও সাহসীকতার সহিত পালন করে আসছি। গত ৬ বৎসর যাবৎ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আমি অএ ইউনিয়নের দুনীতি মুক্ত,ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও বিচার-বানিজ্য মুক্ত একটি মডেল ইউনিয়নে পরিনত করতে সক্ষম হয়েছি। গত ৬ বৎসর অএ ইউনিয়নে উন্নয়নের স্বর্নযুগ বলে এলাকার সাধারন জনগন মনে করেন। অত্যান্ত দু:খের পরিতাপের বিষয় সমাজের কতিপয় ঘৃর্নিত ব্যাক্তি যারা নিজেদেরকে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্নিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে পরিষদের ২জন মেম্বার সংরক্ষিত ৭, ৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবরিনা নুশরাত কবিতা ও ৯  নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ মিরান যারা বিভিন্ন সময়ে আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা নিতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে, মিথ্যা বানোয়াট, ও কাল্পনিক অভিযোগ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে বিভিন্ন গনমাধ্যম প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ করে আসছে। আমি এসব মিথ্যা অভিযোগের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি মনে করি নিজে কোন দুনীতি করিনি, অভিযুক্ত ইউপি সদস্যদের দুর্নীতি করার সুযোগ দিচ্ছি না। এতে হয়ত তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। ষড়যন্ত্রকারীরা এ সুযোগটা ব্যবহার  করতে চেষ্টা করছে। তারা যে অভিযোগটি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করছেন তা মিথ্যা,বানোয়াট, ভিওিহীন, কাল্পনিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত যাহা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। ইউপি সদস্যেদের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আত্বসাতের যে অভিযোগ প্রচার করছেন তা মিথ্যা ও ভিওিহীন । প্রকৃত অর্থে উল্লেখিত ইউপি সদস্যদ্বয় উক্ত প্রকল্পের সভাপতি/ সম্পাদক নয়। উক্ত প্রকল্পের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের প্রকল্পে কোন ইউপি সদস্যর স্বাক্ষরে টাকা উওোলন হয়না। কমিটির কাজ হলো কাজটা মানসন্মত হচ্ছে কিনা, তা তদারকি করা। তারা যে কম্পোজ করা কাগজটি দিয়ে অভিযোগ করেছেন উক্ত কাগজে চেয়ারম্যান হিসেবে আমার দস্তখত ও নাই। যেহেতু আমার স্বাক্ষর নেই, সেহেতু উক্ত ঘোষিত কমিটির আমার দায়-দায়িত্ব কতটুকু তা আপনারা ভালো বুঝবেন। আমি মনে করি উল্লেখিত কম্পোজ করা কাগজটি তারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নিজেরা জাল জালিয়াতের মাধ্যমে তৈরী করেছেন। দি¦তীয়ত উক্ত প্রকল্পের টাকা ব্যাংক থেকে অদ্যাবধি উওোলন করা হয় নাই। যা আপনাদের কাছে দাখিলকৃত ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখলে বুঝতে পারবেন। তৃতীয়ত উক্ত প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। পুকুরে পানি থাকার কারনে কাজটি করতে একটু বেশী সময় লেগেছে। তবে প্রকল্পের কাজ শেষ করার মেয়াদ এখনও বাকী আছে। আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, দ্ধিতীয় মেয়াদের সময়কাল সহ ৬ বৎসর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে আমি যদি কোন দূনীতি, বিচার বানিজ্য, কোন অনৈতিক সুবিধা, এমন যদি কেউ প্রমান দিতে পারে তাহলে আমি মাথা পেতে নিব, আর যদি প্রমান দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। পরিশেষে সূচীপাড়া উওর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারন ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ভিওিহীন ও বানোয়াট অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। সন্মেলনে ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহ মিরান ও সংরক্ষিত ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাবরিনা নুশরাত কবিতার বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ জানান, ৯ নং ওয়ার্ডের শোরশাক  জহির উদ্দিন বেপারী বাড়ীর মো: হারুন, পিতা: ইব্রাহীম, পেয়ারা বেগম, স্বামী : ইব্রাহীম সাং শোরশাক জহির উদ্দিন বেপারী  বাড়ী, ও মো: সুলতান পিতা: নোয়াব আলী, সাং শোরশাক নোয়াব আলী বাড়ী।    সংবাদ সন্মেলনে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, ইউপি সদস্যগন, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপশন: শাহরাস্তির সূচীপাড়া উওর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার সংবাদ সন্মেলনে বক্তব্য রাখছেন।