স্টাফ রিপোর্টার : শাহরাস্তির চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের
আয়নাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডায়রীর টাকা না আনায়
প্রধান শিক্ষকের হাতে বেদম মারধরের শিকার হলেন ঐ বিদ্যালয়ের ৫ম
শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে ঐ শিক্ষার্থীর চাচা মো: রফিকুল
ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগে
জানায় আয়নাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাএী
মারিয়া আক্তার মুক্তা (১১) ক্লাস রোল (২২) প্রতিদিনের ন্যায়
ক্লাসে উপস্থিত হলে ডায়েরীর টাকা না আনার অজুহাতে প্রধান
শিক্ষক জাকির হোসেন তাকে বেদম মারধর করেন। এছাড়াও একই
ক্লাসের আরো ৩/৪ জনকে প্রধান শিক্ষকের জন্য খাওয়া ও অগ্রিম
ডায়েরীর টাকা না আনায় মারধর করা হয়েছে বলে জানায়। এ সময়
কয়েকজন শিক্ষক প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছ থেকে
শিক্ষার্থীদের ছুটাতে গেলে তিনি তাদের সাথে খারাপ আচরন
করেন।
এ বিষয়ে ঐ শিক্ষার্থীর মা কুহিনুর আক্তার জানান, শিক্ষার্থী
মারিয়া আক্তার মুক্তা অসুস্থ হয়ে বাড়িতে আসলে সে জানায়
বিদ্যালয়ে ডায়েরীর টাকা না নেয়ায় প্রধান শিক্ষক তাকে বেদম
করেছে। মারধরের বিষয়টি বাড়ীতে এসে কাউকে না বলে, সেজন্য
কয়েকজন শিক্ষক তাকে নিষেধ করেছেন। পরবর্তীতে তাকে
প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন
তার ২ জন বাচ্ছা এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে, ছেলে আবুবকর
প্রথম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত গত ১ সপ্তাহ পূর্বে ডায়েরীর জন্য
অগ্রিম ৭০ টাকা দেয়া হলে ও অধ্যাবদি ডায়েরী হাতে পাওয়া
যায়নি। মেয়ে মারিয়া আক্তার মুক্তা ৫ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত তাকে
এর পূর্বে বেশ কয়েকবার ডাষ্টার দিয়ে মারধর করা হয়েছে, বিষয়টি
বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা অবগত রয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী চাচা রফিকুল ইসলাম জানান, মুক্তা
অসুস্থ হয়ে বাড়ীতে আসলে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জাকির
হোসেনকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি ভালো ব্যবহার করেন নি।

পূর্বে তিনি এ শিক্ষার্থীকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছেন। এ
প্রধান শিক্ষক দেরীতে বিদ্যালয়ে আসেন ও দ্রæত বিদ্যালয় বন্ধ করেন।
গত বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষাথীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত পরীক্ষার ফিস
ও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য কাগজ আনতে বাধ্য করেন। তিনি ও তার
সহকারী শিক্ষক সাফায়েত যোগসাজশে স্কুল সময়ে ক্লাস ফাকি
দিয়ে ভূমি খারিজের দালালি, ভূমি পরিমাপ, থানার দালালি,
পাসপোর্ট, এনআইডি, জন্মনিবন্ধন কাজের দালালীর পরিচালনা
করছেন। উপরোক্ত বিষয়গুলো পূর্বে ও সহকারী শিক্ষা অফিসার(
উঘারিয়া ক্লাষ্টার) জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো: জাকির হোসেন জানান, মারধরের যে
অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমার সহকারী শিক্ষকরা
বিষয়টি অবগত রয়েছেন। আমি সহকারী শিক্ষক সাফায়েত সহ ৪
জন শিক্ষক ঐ শিক্ষার্থীর বাড়ীতে গিয়ে তার অভিবাভকদের সাথে
বিষয়টি সমাধান করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: লূৎফুর রহমান জানান,
শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার সহকারী শিক্ষা অফিসারকে
দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে
আসলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।