গর্ভনিংবর্ডির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার তার ২ কন্যা, ১ পুএ সন্তানকে দাতা সদস্য,
বাড়ীর কেয়ারটেকার হলেন হিতৈষী সদস্য

স্টাফ রিপোটার: ঐতিহ্যবাহী চিতোষী ডিগ্রী কলেজের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার পরিবারতন্ত্রের আদলে চিতোষী ডিগ্রী কলেজকে পরিচালিত করছেন বলে জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষকরা। তারা জানান, গর্ভনিংবর্ডির সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার তার ২ কন্যা মাহবুবা আলম তালুকদার, জান্নাতুল ফেরদাউস, পুএ ইফতেখার আলম তালুকদারকে নিয়ম বহিভূতভাবে দাতা সদস্য মনোনীত করেন। এছাড়া গর্ভনিংবর্ডির সভাপতির বাড়ীর কেয়ারটেকার কামাল হোসেনকে হিতৈষী সদস্য মনোনীত করেছেন। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় পরিপএ অনুযায়ী দাতা সদস্য মনোনীত করতে হলে কলেজ ফান্ডে ৩ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে দাতা সদস্য নির্বাচিত করতে হয়। হিসাব অনুযায়ী ৩ জন দাতা সদস্যর ৩ লক্ষ করে ৯ লক্ষ টাকা কলেজ ফান্ডে জমা করে ভাউচার জমা দিতে হবে। অথচ গর্ভনিং বর্ডির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার নিয়ম বহিভূতভাবে তার ২ কন্যা ও ১ সন্তানকে দাতা হিসেবে মনোনীত করেন। এছাড়া তিনি নিয়মবহিভূতভাবে তার বাড়ীর একজন কেয়ারটেকার কামাল হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা কলেজ ফান্ডে জমা দিয়ে হিতৈষী সদস্য মনোনীত করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় তদন্ত প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে তার কাছে ব্যাখা চাইলে, তিনি কোন ভাউচার বা জবাব দাখিল করতে পারেননি। এ বিষয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ মো: আহসান উল্ল্যাহ জানান, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের পরিপএ ও সরকারী নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি তার ২ কন্যা ও ১ পুএকে দাতা সদস্য মনোনীত করেন। কলেজ ফান্ডে ১ টাকা ও জমা না দিয়ে কোন জমা ভাউচার তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি। তিনি গর্ভনিং বর্ডির সভাপতি টিকিয়ে রাখার জন্য, ভোট বাড়ানোর জন্য তার বাড়ীর সামান্য একজন কেয়ারটেকারকে তিনি হিতৈষী সদস্য মনোনীত করেছেন, যাহা হাস্যকর। তার অনিয়ম, মনগড়া সিদ্ধান্ত, নিছক মানসিকতার জন্য ঐতিহ্যবাহী এ কলেজের ডিগ্রী পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগের ফলে দিন দিন কলেজটি অচল হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাইনা। ডাক্তারের কাছে আছি, পরে কথা বলব।