স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার সংহাই গ্রামের সামিয়া আক্তার (নিপু) পিতা আব্দুর রহিম গ্রাম সংহাই,পূর্বপাড়া বাড়ি থানা শাহরাস্তি জেলা চাঁদপুর।জানা যায় এই মেয়ের বাল্য বিয়ের ব্যপারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শাহরাস্তি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুদা আক্তার সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন শাহরাস্তির উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে দেয়।যে ঘটনায় কোট এফিডেভিটে করা স্বাক্ষী সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিজানুর রহমান সহ ৪ জন জড়িত আছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে। যাদের আড়াল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সুবিধাভোগী এক কর্মকর্তার মাধ্যমে তথাকথিত রাজনৈতিক নেতার তদবীর করার খবর পাওয়া গেছে। যে ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তথাকথিত ঔ কর্মকর্তা বিতর্কিত করার চেষ্টা করে চলছে। যদিও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ব্যপারে কঠোর অবস্থানে আছে তারপরেও জড়িত ব্যক্তিদের কোট এফিডেভিটের বিষয় তার অফিসের এক সুবিধাভোগী কর্মকর্তার কারনে তার কানে তা পৌছাতে পারে না মেয়ের বাড়ির ও এলাকার সচেতন জনগন।অনুসন্ধানে জানা যায় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিজানুর রহমান কোট এফিডেভিটের স্বাক্ষী হয়ে পরে একজন ইমামের উপস্থিতিতে বিবাহ দেয়।শুধু এখানে নয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিজানুর রহমান বিবাহের অনুষ্ঠানে যোগদেন যে ব্যপারে মেয়ের বাড়ির অনেকে জানিয়েছেন।তবে মেয়ের বাড়ির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার ফুলবাড়িয়ার বঙ্গবাজারের এক ব্যবসায়ি জানান মেয়েটির বয়স অনেক কম আমরা তার প্রতিবাদ করেছি বিয়ে দেওয়ার সময় কিন্তু মেয়ের পরিবার তা শুনেনি বরং এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে বাবুর্চি দিয়ে রান্না করে অনুষ্ঠান করে যে অনুষ্ঠানের মেহমান ছিলেন ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিজানুর রহমান।মেয়ের বাড়ির আরেকজন বাসিন্ধা জানান আমি অসুস্থ হার্টের রোগী ঢাকায় ছিলাম বাড়িতে এসে দেখি মেয়ে ছেলের বাড়িতে আছে।আর আমাদের বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি মেয়ের বাবা তার নিজের সিএনজি করে মেয়ের মা সহ আপন চাচা দুলাল হোসেন এবং ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিজানুর রহমান একই গাড়িতে মেয়েকে ছেলের বাড়িতে নিয়ে যায়।তবে মেয়ের বাড়ির আরেকজন সিএনজি চালক বলেন ছেলে মেয়ের মেলামেশা হয়েছে তারা প্রকাশ্য অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিয়েছে এখন লুকিয়ে লাভ কি।আমরা কেউ প্রতিবাদ করলে মেয়ের বাবা আমাদের হুমকি দেয় তিনি হাটে বাজারে বলে বাড়ির কাউকে দাওয়াত দেয়নি তাই প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি এই বলে আমাদের গালাগালি করে।তবে ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিজানুর রহমান রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে কোট এফিডেভিটে স্বাক্ষী হয়ে বাল্য বিয়ের আয়োজন করার বিষয় তথাকথিত রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে তদবীর করে চলছে বিষয়টি আড়াল করার জন্য।শুধু তাই নয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিজানুর রহমান মেয়ের বাবা আব্দুর রহিমের সাথে ধপারপা করে যেন মেয়ের বাবা ছেলে মেয়ে পালিয়ে গেছে বলে ঘটনাটি এভাবে চাপিয়ে কথা বলার জন্য।স্থানীয় জনগন বলছে একজন ইউপি সদস্য (মেম্বার) হয়ে কি ভাবে তিনি এই কাজ করেন তিনি আইন কানুন কিছুই মানছে না।আর কয়টা বাল্য বিবাহ তিনি এ ভাবে করিয়েছেন তা সাধারন জনগনের বোধগম্য নয় তবে প্রশাসন তাকে ব্যপক জিঙ্গাসাবাদ করলে আরো অনেক তথ্য বাহির হবে।তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করলে শুধু তার ওয়ার্ড নয় দেশের সব ইউপি সদস্য তাকে দেখে শিক্ষা নিবে বাল্য বিবাহ করিয়ে পার পাওয়া সম্ভব নয়। এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সাধারন জনগন।
এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুদা আক্তার জানান, বাল্য বিয়ের  বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনা সত্যতা পরিলক্ষিত হয়। যার প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।