ঝুকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল নানাহ সমস্যায় জরজরিত হয়ে নীলকমল মনিপুর মুলামবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চলছে
এস আর শাহ আলম
ডিজিটাল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার আমলের ১৬ টি বছরে দেশের বহু উন্নয়ন হলেও বাঁশের সাকোর পরিবর্তন হয়নি, সেখানে উন্নয়ন হয়নি বাশের পরিবর্তে কাঠের পুল কিনবা পাকা পোন, যার কারনে ঝুকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল।
এমন চিএটি দেখা গেছে, চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ৪ নং নীলকমল ইউনিয়ন নাছের সরদার বাজার সংলগ্ন ২৬ নং মনিপুর মুলামবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের, সরজমিন দেখা যায় ওই এলাকার আশ্রায়ন প্রকল্পের মাঝেই বিদ্যালয়টি পূর্ন নির্ন্মাণ করা হয়েছে টিন সেটের ঘর, যেখানে অসহায় হত দরিদ্র পরিবারে কোমল মতি শতাব্দীক ছেলে মেয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছে। অথচ বিদ্যালয়ে যাতায়ত করতে নাছের সরদার বাজারের পিছন দিয়ে একটি খাল রয়েছে যেই খালের উপর দিয়ে ঝুকিপূর্ণ একটি বাশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা আশা যাওয়া করছে, তার সাথে ওই আশ্রায়ন প্রকল্পের শত শত মানুষ ও তাদের ছোট শিশুদের নিয়ে চলাচল করতে হয়, এতে করে জীবনের প্রতি ঝুকি নিয়ে শিশুরা আশা যাওয়া করছে , তাছারা এই সাকোর কারনে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত হয় বলে প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি আরো বলেন এই বাশের সাঁকো টির পরিবর্তে একটি কাঠের বেইজ পোল অথবা পাকা কালভাট করে দিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিত সহ সংখ্যা বারবে, বর্তমানে ৫০-৬০ জন ছেলে মেয়ে ঝুকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে আশা যাওয়া করে বিদ্যালয়ে।
এদিকে হাইমচর উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে ঘোশিত ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম বলেন বিদ্যুৎ এর ওয়ারিং করা আছে, বিদ্যুত ল্যাম্প পোস্ট থেকে তারের সংযোগ না থাকায় পচন্ড গরমে শিক্ষার্থীরা সহ শিক্ষক বৃন্দু শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়, আমরা সব সময় চেস্ট করি কোমল মতি শিশুদের শিক্ষার আলোতে পৌঁছে দিতে, কিন্তু এই বিদ্যালয়ের জানালা গুলির সিটকারি নেই তাই কোনটা রশি দিয়ে আবার কোনটা খোলা রাখতে হয়, এতে করে প্রয়োজনীয় কাগজ পএ বা আশবাব পএ চুরি হওয়ার আশংকায় থাকি, তাছারা ডিপকল না থাকার কারনে শিশুরা বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে না, অনেক সময় শিশুরা বাড়ি গিয়ে পানি পান করে আশে, তার সাথে ওয়াস রুম এর কাজ অর্অমত হয়ে পরে আছে, টিনের টয়লেট ব্যবহার করলেও পানির সমস্যায় ভুগতে হয়, এবং তাছারা চার পাশে বাউন্ডারি না থাকায় গরু ছাগল মাঠে বা স্কুল বাসিন্দায় পায়খানা করে আবর্জনায় পরিণত করে রাখে, এক পশলা বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জ্বমে থাকে তখন কাঁদা পানি দিয়ে ছেলে মেয়েরা কক্ষে প্রবেশ করে,, শুধু তাই নয়, যাদের জন্য আমাদের মাতৃভাষা তাদের স্বরনের সৃতি হিসেবে একটি শহিদ মিনার নেই,, এতে করে নানাহ সমস্যায় জরজরিত হয়ে চলছে বিদ্যালয়টি, আর শিক্ষার্থীরা বলেন আমরা নানাহ সমস্যা দিয়ে স্কুলে আশি লেখা পড়া করি, আগে টিফিন সময় আমরা বিস্কুট খেতে পারতাম এখন পাই না, অনেক সময় দুপুরে খিদা লাগে না খেয়ে লেখাপড়া করি, আর আমাদের বাবারা জেলে ও কৃষি কাজ করে আয়কম বলে স্কুল ড্রেস কিনতে পারিনা টাকার অভাবে তাই বাড়ির পোষাক পরে আসি। তাছারা আমাদের স্যাররা আমাদের প্রতি খেয়াল রাখেন আমাদের লেখাপড়া করতে সহযোগিতা করে ভালা ব্যবহার করে। সব সময় স্যাররা আমাদের খোজ খবর রাখেন। তাই বর্তমান সরকারের কাছে আমাগো দাবি আমাগো স্কুলের সমস্যা গুলি অচিরেই সমাদান করবেন।
অপর দিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি এবং জমিদাতা ও নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন প্যানাল চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন সিকদার বলেন আসলে এই বিদ্যালয়টি অন্য এলাকায় ছিলো, এখানে এনে নতুন করে ঘর নির্ন্মাণ করতে আমার জমি ছারাও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, আর সরকারি ভাবে ঘর গুলি বরাদ্দ হয়েছিলো এবং ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেছেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও হাইমচর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক খোরশেদ আলম, তবে কত টাকা টেন্ডার হয়েছে বা কতটাকা কাজ করেছে আর বাকি কাজ গুলি কেনো হচ্ছে না তার বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন, তবে আমি চেস্টা করবো চলাচলের বাশের সাঁকো সহ বিদ্যুত সংযোগ ও খাবার পানির বিষয়টি জরুরি ভাবে সমাদান করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করবো, এবং সরকারি ভাবে অনুদান আনার ও ব্যবস্হা করবো, আসলে নদী ভাংতি এলাকার মানুষজন অনেক গরিব ঘরের ছেলে মেয়েরা এখানে লেখাপড়া করে, আমি পরিচালনা কমিটির সভাপতি থাকা কালীন যতটুকু সহযোগীতা করেছি ঠিক এখনো জমিদাতা হিসেবে বিদ্যালয়ের নানাহ সমস্যা গুলির সমাদান করার জোর চেষ্টা করবো। তাছারা এই বিদ্যালয়ে সরকারি ভাবে প্রধান শিক্ষক সহ সহকারী আরো চার জন মোট ৫ জন শিক্ষক নিয়োমিত দায়িত্ব পালন করে, এবং একজন দপ্তরি রয়েছে, তাছারা ঝর বৃষ্টির সময়ে বেসরকারি ভাবে অতিরিক্ত দুইজন শিক্ষক এর ব্যবস্হা আমরা করেছি,
শুধু বিদ্যালয়টিই ঝুকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচল করে না, তার সাথে আশ্রয়ান প্রকল্পের শত শত মানুষ এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে , আর তাই আমরা মনে করি অতবি জরুরি উপরন্ত উল্লেখ যোগ্য বিষয় গুলি জরুরি সমাধান করতে জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও হাইমচর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার সু দৃষ্টি দিবেন।